বিনোদন ডেস্ক:
দুই দিন জেলে থাকার পর জামিনে মুক্তি পেলেন বলিউড সুপারস্টার সালমান খান। শনিবার বিকেলে বজরঙ্গি ভাইজানের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন যোধপুর আদালত। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন বিচারক রবীন্দ্র কুমার জোশী। তবে, এ দিন সকাল থেকে সালমানের জামিন সংক্রান্ত মামলা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। কারণ, শুক্রবার বিচারক রবীন্দ্রকুমার জোশীসহ ৭২ জনকে বদলির নির্দেশ দেয় প্রশাসন। তবে, বিচারক বদলির এই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে সাত দিন সময় লাগে। সে জন্য এ দিন জোশীর এজলাসেই হয় সালমানের জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি।
২০ বছর আগে বিরল প্রজাতির কৃষ্ণসার ও চিত্রা হরিণ শিকার মামলায় পাঁচ বছরের সাজা পাওয়ার পর থেকেই সালমানকে রাখা হয় যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে। শুক্রবার রাতে তাকে ডাল, রুটি, তরকারি খেতে দেয়া হয়। জেল সূত্রে খবর, বিচারক বদলির খবর পেয়ে তিনি নাকি অস্থির হয়ে পড়েছিলেন। রাতে দু’চোখের পাতা এক করতে পারেননি।
যোধপুর সেশনস কোর্টে জামিনের আবেদন জানিয়ে, সালমানের তরফ থেকে বলা হয়েছে, যে সাক্ষীদের কথার ওপর ভিত্তি করে এই মামলার সাজা ঘোষণা করা হয়েছে, তাদের মন্তব্য মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। শুক্রবার বেশ কিছুক্ষণ শুনানির পর রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন বিচারপতি রবীন্দ্রকুমার জোশী।
পরে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় যোধপুর আদালতে আবার সালমানের জামিন আবেদনের শুনানি শুরু হয়। তখন আদালত প্রথমে জামিনের রায় দুপুর আড়াইটায় দেয়ার কথা বলেন। পড়ে তা আরও এক ঘণ্টা বাড়িয়ে দুপুর সাড়ে ৩টা করা হয়। রায়ের সময় আদালতে সালমানের আইনজীবীসহ উপস্থিত ছিলেন তার দুই বোন আলভিরা ও অর্পিতা খান শর্মা। তাদের আদালতে নিয়ে আসেন সালমানের দেহরক্ষী শেরা।